ফেনসিডিল চোরাচালান মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন যশোরের একটি আদালত।
মঙ্গলবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালত এবং স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোস্তফা কামাল এ আদেশ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আবু সেলিম রানা ও অ্যাডভোকেট বিমল কুমার রায়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- যশোরের বেনাপোলের বুজতলা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আবুল কালাম, নোয়াখালীর সেনবাগ থানার আহাম্মদপুর (পন্ডিত বাড়ি) গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে ড্রাইভার আব্দুল কুদ্দুস ও মৃত এরশাদ উল্লা মাস্টারের ছেলে গোলাম মাওলা।
দণ্ডিতদের মধ্যে শুধু আবুল কালাম কারাবন্দি আছেন। আর জামিন নিয়ে আব্দুল কুদ্দুস ও গোলাম মাওলা আত্মগোপন করেন।
জানা যায়, ২০০৯ সালের ১০ অক্টোবর যশোরের র্যাব-৬ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, বেনাপোল থেকে ফিরোজা কার্গো গাড়িতে ফেনসিডিল নিয়ে যশোরের দিকে আসছে। সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ডিএডি আফজাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল বেনাপোল সড়কের গলফ ফিলিং স্টেশনের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন তল্লাশি শুরু করেন।
সকাল ৮টার দিকে ফিরোজা কার্গো গাড়িটি চেকপোস্টে আসলে তল্লাশি করে ১২টি চটের বস্তায় দুই হাজার ২৪৬ বোতল ভারতীয় আমদানি নিষিদ্ধ ফেনসিডিল উদ্ধারসহ ওই তিনজনকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে ডিএডি আফজাল হোসেন চোরাচালান দমন আইনে তিনজনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩০ জুন এসআই মাহফুজুল হক তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদলতে চার্জশিট জমা দেন। এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক প্রত্যেকের মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ড্রাইভার আব্দুল কুদ্দুস ও গোলাম মাওলা পলাতক রয়েছে।
সূত্রঃ ঢাকাপোস্ট